রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫

সিলিকন ভ্যালি – প্রযুক্তির রাজধানী

Silicon_valley

সিলিকন ভ্যালি (Silicon Valley) যুক্তরাষ্ট্রের সান্ফ্রান্সিস্কো এবং সান্হোসে এই দুই শহরের মাঝামাঝি ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত, যা ৩০০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ১৯৯৫ সালের পর থেকে এই সিলিকন ভ্যালির জনপ্রিয়তার সূত্রপাত। সিলিকন ভ্যালি ইন্টারনেট এবং উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবসার সূতিকাগার। গুগল, সিলিকন ভ্যালি (যুক্তরাষ্ট্র) (উইকিপিডিয়া অনুসারে) হল ৩০০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত একটি জায়গা যা উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া তে অবস্থিত। সান্ফ্রান্সিস্কো এবং সান্হোসে এই দুই শহরের মাঝামাঝি এই সিলিকন ভ্যালি। ১৯৯৫ সালের পর সিলিকন ভ্যালি হয়ে উঠে ইন্টারনেট অর্থনীতি এবং উচ্চ প্রযুক্তি সঙ্ক্রান্ত বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখানেই জন্ম লাভ করেছে ইয়াহু!, গুগল, ই- বে এর মত বড় ইন্টারনেট ডট কম কোম্পানি গুলো। ২০০০ সালে এখানে গড়ে ওঠা প্রায় ৪০০০ উচ্চ প্রযুক্তি কোম্পানি গুলো প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করেছে আর এর সিংহভাগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিনিয়োগের মাধ্যমে।
বিশ্বম্যাপে সিলিকন ভ্যালি সিলিকন ভ্যালি কি জন্য বিখ্যাতঃ প্রযুক্তি বাজারের লিডিং প্রতিষ্ঠানগুলোর হেড-কোয়ার্টার এই সিলিকন ভ্যালিতে অবিস্থিত। প্রযুক্তির এমন কোন লিডিং প্রতিষ্ঠান নেই যারা সিলিকন ভ্যালি কেন্দ্রিক না। গুগল, মাইক্রোসফট থেকে শুরু করে সেই অ্যামাজান, ই-বের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর বসতবাড়ি এই সিলিকন ভ্যালিতে। শুধু বসত বাড়ি, তাদের সকল খাওয়া, দাওয়াও এই সিলিকন ভ্যালিতে। বিখ্যাত সব স্টার্ট-আপের জন্ম এই সিলিকন ভ্যালিতে। অ্যাডবি, ওরাকলের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের স্টার্ট-আপ এই সিলিকন ভ্যালি থেকে। সিলিকন ভ্যালিতে এখন পর্যন্ত যতো টেক স্টার্ট-আপ হয়েছে তার যদি একাংশও না হতো তাহলে শত শত বছর প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে যেতাম। সামাজিকভাবে তথ্য-প্রযুক্তিতে উন্নয়নের জন্য সব থেকে বেশি ভুমিকা রাখে সিলিকন ভ্যালি। সমগ্র বিশ্বে সিলিকন ভ্যালি সৃষ্টি করেছে প্রযুক্তির জন্য আজব ক্ষেত্র। পৃথিবী বিখ্যাত ভেনচরগুলোর দুই তৃতীয়াংশ আসে সিলিকন ভ্যালি থেকে।
গবেষকরা মনে করে সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠানগুলো না আসলে বিশ্ব উদ্যোক্তারা অনেক বেশি পিছিয়ে থাকতো। পৃথিবীর বিখ্যাত ডাটা সেন্টারগুলোর আবাস এই সিলিকন ভ্যালিতেই। সিলিকন ভ্যালির প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোঃ প্রযুক্তি জগতের এমন কোন লিডিং প্রতিষ্ঠান পাবেন না যার সূতিকাগার এই সিলিকন ভ্যালি। সিলিকন প্রযুক্তিতে শুধু লিডিং পজিশনেই না, এখানে  জন্ম হয় আপডেট সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।

Google

গুগল (Google) ইনকর্পোরেটেড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক ইন্টারনেট এবং সফটওয়্যার কোম্পানী এবং বিশেষভাবে তাদের গুগল সার্চ ইঞ্জিনের জন্য বিশ্বখ্যাত। সিলিকন ভ্যালি বেজড সবথেকে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান এই গুগল। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন পিএইচডি ছাত্র ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯৮ সালে গুগল প্রতিষ্ঠিত হয়। সিলিকন ভ্যালির সব থেকে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি এই গুগল।

Yahoo

ইয়াহু (Yahoo!!) একটি বৃহৎ ইন্টারনেট ভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান। ইয়াহু’র রয়েছে ওয়েবসাইট, সার্চইঞ্জিন, ইয়াহু ডিকশেনারী, ইয়াহু মেইল, ইয়াহু নিউজ, ইয়াহু গ্রুপ, ইয়াহু এন্সার, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, অনলাইন ম্যাপ, ইয়াহু ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া সেবা ইত্যাদি। সংবাদ সংস্থাগুলো তথ্য অনুসারে ইয়াহুর নিয়মিত ব্যবহারকারী প্রায় ৭০০ মিলিয়ন। ইয়াহু দাবি করে “প্রতি মাসে প্রায় ৫কোটি মানুষ ৩০টি ভাষায় ইয়াহু ব্যবহার করে।

MicroSoft

মাইক্রোসফট (MicroSoft) মাইক্রোসফট কর্পোরেশন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কম্পিউটার প্রযুক্তি কর্পোরেশন। এদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং মাইক্রোসফট অফিস। ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠিত হয় বর্তমান বিশ্বের সব থেকে ধনী বিল গেটসের দ্বারা।

amazon

অ্যামাজান (Amazon.com) আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্ৰ ভিত্তিক আমাজন ডট কম হচ্ছে পৃথিৱীর সর্ববৃহৎ বহুজাতিক ই- কমার্স প্ৰতিষ্ঠান। ১৯৯৪ সালে এই প্রতিষ্ঠিত হয়। কেনাকাটায় বিশ্বকে এক করার এক প্রধান হাতিয়ার এই অ্যামাজান ডট কম। ই-কমার্স সাইটকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করারও এক প্রধান হাতিয়ার এই অ্যামাজান।

adobe

অ্যাডোবি সিস্টেমস (Adobe Systems) অ্যাডবি সিস্টেমস একটি মার্কিন কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানি। সদর-দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোস শহরে অবস্থিত। অ্যাডোবি সিস্টেমস মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার তৈরির জন্য পৃথিবীব্যাপী বিখ্যাত। বর্তমানে মাল্টিমিডিয়ার পাশাপাশি অ্যাডোবি ইন্টারনেট অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নও করছে। সিলিকন ভ্যালি ভিত্তিক সর্ব বৃহৎ সফটওয়্যার কোম্পানি।

Ebay

ই-বে (eBay) ইবে অ্যামিরিকার বহুজাতিক ই-কমার্স কোম্পানি। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আজও বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়।

Facebook

ফেসবুক  (Facebook) ফেসবুক বিশ্ব-সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি ৪ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন কয়েক জন বন্ধুদের সাথে প্রচেষ্টায় ফেসবুক তৈরি করেন। বিশ্ব যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এক করার এক প্রধান হাতিয়ার এই ফেসবুক।

NVIDIA

এনভিডিয়া (Nvidia) এনভিডিয়া কর্পোরেশন সান্তা ক্লারা, ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি। এরা প্রধানত গ্রাফিক্স প্রোসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) এবং মোবাইলের জন্যে চিপ তৈরি করে। প্রতিষ্ঠা সাল ১৯৯৩।

Oracle

ওরাকল কর্পোরেশন (Oracle Corporation) ওরাকল কর্পোরেশন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহুজাতিক কম্পিউটার প্রযুক্তি কর্পোরেশন। এর সদর দফতর ক্যালিফোর্নিয়ার রেডউড সিটিতে। কোম্পানিটি কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সিস্টেম পণ্য তৈরিতে পারদর্শী। ১৯৭৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা পায়। সিলিকন ভ্যালি বেজড স্টার্ট-আপের মধ্যে ওরাকল সব থেকে জনপ্রিয়।

amd

অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস (Advanced Micro Devices (AMD)) অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস কম্পিউটার প্রসেসর এবং এর সাথে জড়িত অন্যান্য প্রযুক্তি তৈরি করার একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে।

Apple

অ্যাপ্ল কম্পিউটার (Apple Inc.) অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড একটি বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রে ভিত্তিক ব্যক্তিগত কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। শুরুতে এ প্রতিষ্ঠানের নাম ছিলো অ্যাপল কম্পিউটার ইনকর্পোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি নানা ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য, কম্পিউটার সফটওয়্যার এবংপার্সোনাল কম্পিউটার তৈরী করে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। অ্যাপেল নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম ওএস এক্সের মাধ্যমে তৈরী করে আইপড, আইফোন এবং আইপড় তৈরী করে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি গান শোনার সফটওয়্যার আইটিউনস এবং মাল্টিমিডিয়া ও ক্রিয়েটিভ সফটওয়্যার আইলাইফ তৈরী করে। এছাড়া ইন্টারনেট ব্রাউজার সাফারি এবং মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস তৈরী করে। প্রযুক্তির প্রতি ক্ষেত্রে অ্যাপেলের আছে দারুণ পদচারনা।

HP

হিউলেট প্যাকার্ড (hp) কোম্পানি হিউলেট-প্যাকার্ড কোম্পানি বা এইচপি একটি আমেরিকান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত কম্পিউটার, কম্পিউটারের বিভিন্ন যণ্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক। এর সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের পালো অ্যালটো নামক স্থানে। কোম্পানিটির যাত্রা শুরু হয় একটি গাড়ির গ্যারেজে। বর্তমানে হিউলেট প্যাকার্ড বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কম্পিউটার নির্মাতা। ১৯৩৯ সাল থেকে এইচপি যাত্রা শুরু করে।

Intel

ইন্টেল কর্পোরেশন (Intel) ইন্টেল কর্পোরেশন একটি আমেরিকান চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। ইন্টেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৮ সালে। ইন্টেল কম্পিউটার প্রসেসর তৈরির পাশাপাশি আরো তৈরী করে মাদারবোর্ড চিপসেট, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কন্ট্রোলার, ইন্ট্রিগ্রেটেড সার্কিট, ফ্ল্যাস মেমোরি, গ্রাফিক্স কার্ড, সংযুক্ত প্রসেসর এবং অন্যান্য আরো অনেক কিছু যা কম্পিউটার এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে অতীব প্রয়োজনীয়।

Paypal

পেপাল (PayPal ) পেপ্যাল একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। অননলাইন স্থানান্তরের এই পদ্ধতি গতানুগতিক অর্থের লেনদেনের পদ্ধতি যেমন চেক বা মানি অর্ডারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 1998 সাল থেকে পেপাল যাত্রা শুরু করে। এখন পর্যন্ত সবথেকে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত অনলাইন মানি লেনদেন পদ্ধতি এই পেপাল।

Dell

ডেল (Dell) ডেল ইনকর্পোরেটেড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৪ সালের ৪ নভেম্বর ডেল প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পতিষ্ঠাতা মাইকেল ডেল। তিনি ডেল ডেল ইনকর্পোরেটেড-এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী। ছোটবেলায় জমানো ১ হাজার ডলার মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেন তিনি। চীন ও মালয়েশিয়া সহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশে ডেল-এর কারখানা রয়েছে।

Sony Officejpg

সনি (Sony) সনি কর্পোরেশন জাপানী ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নির্মাতা। ৭ মে ১৯৪৬ সালে সনি যাত্রা করে। বর্তমানে সব ধরণের ইলেক্ট্রনিক্স নির্মাণে সনির আছে দারুণ জনপ্রিয়তা।

photo by Scott Beale / Laughing Squid This photo is licensed under a Creative Commons license. If you use this photo within the terms of the license or make special arrangements to use the photo, please list the photo credit as "Scott Beale / Laughing Squid" and link the credit to http://laughingsquid.com.

টুইটার (Twitter) টুইটার সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও মাইক্রোব্লগিংয়ের একটি ওয়েবসাইট, যেখানে ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ১৪০ অক্ষরের বার্তা আদান-প্রদান ও প্রকাশ করতে পারেন। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে টুইটারের যাত্রা শুরু হয়। তবে ২০০৬ এর জুলাই মাসে জ্যাক ডর্সি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। টুইটার সারা বিশ্ব্জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

Youtube

ইউটিউব (YouTube) ইউটিউব একটি ভিডিও আদান-প্রদান করার ওয়েবসাইট। একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট যা এর সদস্যদের ভিডিও আপলোড, দেখা আর আদান-প্রদানের সুবিধা দান করে আসছে। এই সাইটটিতে আরো আছে ভিডিও পর্যালোচনা, অভিমত প্রদান সহ নানা প্রয়োজনীয় সুবিধা। ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির পেছনে ছিলেন মূলত পে- প্যাল প্রতিষ্ঠানের তিন প্রাক্তন চাকুরীজীবি, চ্যড হারলি, স্টিভ চ্যন আর বাংলাদেশী বংশদ্ভুত জাভেদ করিম।

আচ্ছা আপনার কি মনে হয়, প্রযুক্তি এসব প্রতিষ্ঠান ছাড়া কল্পনা করা সম্ভব? সিলিকন ভ্যালিকে প্রযুক্তি উপত্যকা ছাড়া আপনি কি বলবেন ! সিলিকন ভ্যালির সর্বোচ্চ বেতনের চাকরি গুলাঃ অ্যাপেল, গুগল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ টেক কোম্পানিগুলো অভিজ্ঞ টেঁকিম্যানকে হায়ার করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে। কিন্তু সিলিকন ভ্যালির সর্বোচ্চ বেতনওয়ালা জবগুলো কি বা তার চাহিদা কেমন, জানতে ইচ্ছা করে কিনা! এমনকি সিলিকন ভ্যালিতে নাকি এখনও সহস্র জব খালি আছে। দক্ষ ব্যক্তির অভাবে ভুগছে তারা। সিলিকন ভ্যালি সর্বোচ্চ বেতনের সিলিকন ভ্যালি জবঃ ৫) সিনিয়র রুবি রেইলস ইঞ্জিনিয়ারঃ বেতনঃ $১,২০,০০০ ডলার (প্রতি বছর) ৯৬ লাখ টাকা। রুবি প্রোগ্রামিং এ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির কাজে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাহিদার সাথে সিলিকন ভ্যালিরও ব্যাপক চাহিদা আছে। সিলিকন ভ্যালির এই জবে আছে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, যা আপনি ভাবতেও পারবেন না। ৪) ডাটা সাইন্টিস্টঃ বেতনঃ $১,৫০,০০০ থেকে ২,৫০,০০০ ডলার (প্রতি বছর) বড় বড় কোম্পানি তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখে এবং ভবিষ্যৎের জন্য রেখে দেন। ঠিক এরকমই জবের চাহিদা এমন সিলিকন ভ্যালিতে। ৩) ভিপি ইঞ্জিনিয়ারিং: বেতনঃ $১,৭৫,০০০ ডলার (প্রতি বছর) ভিপি ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ টিমের সকল সদস্যদের উজ্জীবিত করে রাখা। এই ধরণের কাজে অভিজ্ঞতা বেশি প্রয়োজন আর সেটা যদি সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠান হয় তাহলে তো বলাই লাগে না। ২) সিনিয়র আইওএস সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারঃ বেতনঃ $১,৩০,০০০ ডলার থেকে ১,৪০,০০০ ডলার (প্রতি বছর) অ্যাপেলের আইওএস সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের আছে ব্যাপক চাহিদা। সেটা সহজে অনুমেয়।

 ফেসবুক ইন্টার্নঃ বেতনঃ $৭০০০ ডলার (প্রতি মাস) বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরানো স্টুডেন্টদের জন্য এরচেয়ে বড় সুযোগ হতে পারে না। ফেসবুকে তাও আবার সিলিকন ভ্যালিতে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করার সুযোগ। বাংলাদেশ কিন্তু প্রযুক্তিতে অনেক বেশি এগিয়ে যাচ্ছে। দুই বাঙালি ফাহিম মাসউদ আজিজ এবং সাকিব হাসান যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে গড়ে তুলেছেন ব্যাকপ্যাকব্যাঙ (backpackbang) নামের একটি নতুন উদ্যোক্তা কোম্পানি (স্টার্টআপ), যা বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের সুযোগ করে দিচ্ছে অন্যের প্রয়োজনীয় সামগ্রী এক দেশ থেকে অন্য দেশে বৈধভাবে পৌঁছে দেওয়ার। তাঁদের কাজ শুরু করার জন্য ওয়াই কম্বিনেটর ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের মূলধনও দিয়েছে। সিলিকন ভ্যালি প্রধান ফটক সিলিকন ভ্যালির সাফল্যের রহস্য কি? সিলিকন ভ্যালি ৩৬৫ দিন বছর, সপ্তাহের ৭ দিন, ২৪ ঘন্টা কাজ করে, প্রযুক্তির সাথে যাদের বসবাস, প্রযুক্তি যাদের ধ্যান জ্ঞান, নতুন নতুন উদ্ভাবন যাদের চালিকা শক্তি।

bjit1

এই সিলিকন ভ্যালিতে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের আরো এক আইটি কোম্পানি “বিজেআটি গ্রুপ ” । বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং মাল্টিন্যাশনাল আইটি কোম্পানি “বিজেআটি গ্রুপ ” আইটি বিশ্বে বাংলাদেশকে সুপরিচিত করতে এবং বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের গ্লোবাল আইটি জগতে সুযোগ করে দিতে নিয়ে এসেছে Global Jobs সার্ভিস। বাংলাদেশ সহ জাপান, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যাণ্ড, আমেরিকাতে বিজেআইটির অফিস রয়েছে এবং ২৫০ এর বেশি ইঞ্জিনিয়ার কাজ করে চলেছে প্রায় ৫০০ ক্লায়েন্টের জন্য।  বিজেআইটি থেকে বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ারা কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন বিশ্বের বড় বড় কম্পানিতে, যেমন (NTT DATA, OMRON, Panasonic, TOSHIBA, SONY, SOURCENEXT, Valmet, FUJISOFT, ACCESS, Kyocera, Flextronics International, IBM.. and more)

bjit2
এই সার্ভিস পেতে কোন রকম ফি দিতে হয়না। এর জন্য আপনাকে “গ্লোবাল জবস” এর ওয়েবসাইটে সিভি তৈরি করতে হবে। আগ্রহী বাক্তিগণ এখনি GlobalJobsBD.com এ একটি একাউন্ট করে রাখতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন